শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১
The Daily Post

শিবালয় ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, পরিবারের দাবি পরিকল্পিত হত্যা 

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

শিবালয় ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, পরিবারের দাবি পরিকল্পিত হত্যা 

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার বোয়ালী এলাকায় গাছের ডালের সাথে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। পরিবারের দাবি, সুদের টাকা না পেয়ে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়। 

জানা যায়, ২৫ দিন আগে ইমান আলীকে অপহরণ করা হয়েছিলো। পরে হাত পা বাঁধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা করেছে নিহতের পরিবার। আবার অপহরণের দুইদিন পর হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী ইমান আলীকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। 

বুধবার (২৯ নভেম্বর) মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে ইমান আলীর মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। গত মঙ্গলবার শিবালয় উপজেলার বোয়ালী এলাকায় গাছের ডালের সাথে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ।

ইমান আলী জেলার ঘিওর উপজেলার পয়লা ইউনিয়নের শাইলকাই গ্রামের মৃত হারান শেখের ছেলে। ঘিওর বাজারের পঞ্চরাস্তা মোড় এলাকায় তার হার্ডওয়্যারের দোকান রয়েছে।

শিবালয় থানার ওসি শাহ নূর-এ আলম জানান, প্রথমে অজ্ঞাতনামা হিসাবে লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেছে পিবিআই। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য লাশের ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।

নিহতের মেঝ ছেলে মিলন হোসেন জানান, তার বাবা গত ২৬ নভেম্বর সকালে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। কোথাও খুঁজে না পেয়ে ঘিওর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। গত মঙ্গলবার পুলিশের মাধ্যমে খবর পান তার বাবার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে হাসপাতাল মর্গে এসে লাশ সনাত্তক করেন। 

তার বাবার পড়নের লু্ঙ্গি, শার্ট ছেড়া ও পায়ে ক্ষত ছিলো। গলায় রশির দাগ। তার অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর তার বাবার লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়। যাতে সবাই আত্মহত্যা মনে করেন।

ঘিওর থানার ওসি আমিনুর ইসলাম জানান, লাশ উদ্ধারের ঘটনা তিনি শুনেছেন বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে। অপহরণ মামলার আসামিরা জামিনে আছেন বলেও জানান ওসি।
 
টিএইচ